একটা হাজার মাইলের যাত্রা শুরু হয় কিন্তু
একটা ছোট্ট পায়ের ছাপ থেকে।
লাও যু

৩ হুকুশ পাকুশের প্রথম প্রোগ্রাম

৩.১ হ্যালো পৃথিবী!

এই ছোট্ট বাক্সটা দেখতে পাচ্ছো হুকুশ পাকুশ? এই বাক্সটাতে লিখো print("hello world!")

লিখেছো? এবার কম্পাইল বাটনটা চাপো!

এটা ছিলো তোমার লেখা প্রথম প্রোগ্রাম! তুমি এখন থেকে প্রোগ্রামার হুকুশ পাকুশ!

আমরা এই প্রোগ্রামটাতে কম্পিউটারকে কি করতে বলেছিলাম জানো? আমরা কম্পিউটারটাকে বললাম, স্ক্রিনে দেখাতে "hello world!"। তখন আমাদের কথা মতো একটা ছোট্ট নতুন প্রোগ্রামের জন্ম হলো। আর সেই ছোট্ট প্রোগ্রামটা চোখ খুলে বললো, “হ্যালো পৃথিবী!”।

কি মজা না বলো? তুমি যা করতে বলছো এখন কম্পিউটারটা তাই করছে!

এবার একটা কাজ করো। "hello world" এর জায়গায় অন্য নতুন করে লিখো "hello hukush-pakush!" । তারপর চলো তো দেখি কি হয়?

এবার আমি তোমাকে বলি এখানে আসলে কি হচ্ছে। কম্পিউটারটা আসলে পুরাই একটা যন্ত্র। ও কিচ্ছু বুঝে না, শুধু বুঝতে পারে যে কারেন্ট আছে আর কারেন্ট নেই । আর সেজন্য সে সবকিছু বুঝে নেয় শূণ্য আর এক দিয়ে। কম্পিউটারের কাছে শূণ্যতার মানে হচ্ছে কারেন্ট নেই, এক মানে হচ্ছে কারেন্ট আছে। তুমি তোমার কম্পিউটারকে যাই বলো না কেন, সে ঠিকই ওর মত করে শূণ্য এক দিয়ে কিছু একটা বুঝে নেবে। ধরো তুমি বললা “আমি তোমাকে ভালোবাসি”, কম্পিউটার বুঝবে “শূণ্য শূণ্য শূন্য এক এক শূণ্য এক শূণ্য এক এক শূণ্য শূণ্য...”। তারপর বোকা হয়ে বসে থাকবে চুপ করে কারণ তুমি তো ওকে কিছু করতে বলোনি!

কম্পিউটারকে আমাদের কথাগুলো বুঝিয়ে দেয়ার জন্য একটা অনুবাদক প্রোগ্রাম লাগে। সে করে কি আমাদের কথাগুলো শোনে তারপর শূণ্য আর এক এ অনুবাদ করে দেয় কম্পিউটারকে। এ ধরণের প্রোগ্রামগুলোকে বলে কম্পাইলার।

তো তুমি যখন লিখলে print("hello world!") তখন কম্পাইলার প্রোগ্রামটা করলো কি - প্রথমে তোমার কোডটাকে পড়লো, তারপর কম্পিউটারকে অনুবাদ করে বললো “কম্পিউটারজী, আপনি আপনার প্রখর বুদ্ধি দিয়ে স্ক্রিনে এক্ষুনি hello world! প্রিন্ট করুন”। তারপর কম্পিউটার সেটা বুঝে নিয়ে তাড়াহুড়া করে স্ক্রিনে দেখালো hello world!

মানুষের যেকরম অনেকগুলো ভাষা, সেরকম কম্পিউটারেরও অনেকগুলো ভাষা। আমি তোমাকে যে ভাষাটা শেখাবো সেটার নাম হচ্ছে পাইথন।

৩.২ কাছে আসো, অঙ্ক করি!

মনে আছে হুকুশ পাকুশ, চার্লস ব্যাবেজ প্রথম কম্পিউটারটা বানাতে চাচ্ছিলো হিসেব নিকেশ করার জন্য? আসো আমরা দেখি কম্পিউটার দুইয়ে দুইয়ে চার করতে পারে কিনা।

পাইথনে আমরা গুণ চিহ্ণকে লেখা হয় * দিয়ে। 4 * 8 মানে হচ্ছে $4 \times 8$। আর ** হচ্ছে পাওয়ার, যেমন 10**3 হচ্ছে $10^3$।